খেলাধুলার ঐতিহ্যে ছড়ানঃ
ফুটবলঃ
ফুটবল একটি জনপ্রিয় খেলা। এটি বৈশ্বিকভাবে ব্যাপক জনপ্রিয় ও পরিচিত। খেলাটি আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন (ফিফা) কর্তৃক পরিচালিত হয়। ‘৯০’ এর দশকে বড়বালা ইউনিয়নে একটি শক্তিশালী ফুটবল দল ছিল। দলটি এ অঞ্চলের যেমন-রংপুর , দিনাজপুর, তারাগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, পীরগঞ্জ, ঈশ্বরদি নবাবগঞ্জসহ রংপুর, দিনাজপুর ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন মাঠে খেলে সুনাম অর্জন করেছে। সে সময়ের প্রতিথযশা খেলোয়াড়’রা হলেন- মোঃ আবু হেনা, খাইরুল ইসলাম, ফারাজ, বাবুল, সুধীর চন্দ্র, মানিক, নূরু, নবুল্লা, আঃ মতিন, মন্ডল, শাহজাহান, আঃ হাকিম প্রমূখ।
তৎকালীন ছড়ান ফুটবল দলের খেলোয়ারদের মধ্যে মোঃ খাইরুল ইসলাম, আপেল, আবুহেনা, ফারাজ ছিল দুধর্ষ খেলোয়াড় যাদেরকে জেলা ও জেলার বাহির থেকে আমন্ত্রণ করে নিয়ে যেত এবং তারা যে দলের হয়ে খেলতেন সে দলের বিজয় নিশ্চিত হয়ে যেত। দলটি এ অঞ্চলে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছিল।
ঐতিহ্যবাহী ছড়ান হাইস্কুল মাঠেএলাকার ক্রীড়ামোদী যুবকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০০৩, ২০০৯ ও ২০১৪ সালে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়। এই টুর্নামেন্টগুলোতে রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, বগুড়া, জয়পুরহাট, রাজশাহী, গাইবান্ধা, নাটোর এর জেলাদলসহ ঈশ্বরদী ব্রাদার্স ইউনিয়নদল অংশগ্রহণ করে।
মহিলা ফুটবলঃ
বড়বালা ইউনিয়নে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মহিলা ফুটবল দল আছে। দলগুলো বিভিন্ন সময়ে উপজেলায় অনুষ্ঠিত খেলায় অংশ গ্রহণ করে সুনাম অর্জন করে যাচ্ছে। ছড়ান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মহিলা ফুটবল দলটি একটি গুরত্বপূর্ন ফুটবল দল।
ক্রিকেটঃ
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। বড়বালা ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই ক্রিকেট দল আছে। দলগুলো ছড়ান উচ্চবিদ্যালয় মাঠে খেলার চর্চা করে থাকে। যার ফলে বড়বালা ইউনিয়নে ক্রিকেট দলের সুনাম এলাকা ও এলাকার বাহিরে আছে।
ভলিবলঃ
শীত মৌসুমে ঐতিহ্যবাহী বড়বালা ইউনিয়নের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভলিবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া প্রায় গ্রামে ও ছড়ান দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ও কেশবপুর বাজারে যুব সম্প্রদায়ের উদ্যোগে জমজমাট ভাবে ভলিবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
হা-ডু-ডু খেলাঃ
বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হা-ডু-ডু। বড়বালা ইউনিয়নে প্রায় এলাকাতেই হয়ে থাকে। তন্মধ্যে বারঘরিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে বিশাল আকারে হা-ডু-ডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
পাতা খেলাঃ
পাতা খেলা বড়বালা ইউনিয়নের এক ঐতিহ্যবাহী খেলা । নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর কমিটি কর্তৃক টাই বিক্রী কওে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পাতা খেলা অনুষ্ঠিত হয়। বিশাল মাঠের চারপাশে বাউন্ডাড়ী দিয়ে মাঝখানে একটি কলাগাছ পোতা হয়এবং তুলারাশি পাতাকে বসিয়ে রাখা হয়। চারদিকে বিভিন্ন ওঝার দল তন্ত্র-মন্ত্র কেরামতি দেখিয়ে পাতাকে নিজেদের দিকে টেনে নেওয়ার প্রতিযোগিতায় নামে। পাতা একবার এই দিকে যায়, আরেকবার ওই দিকে যায়। মাঠজুড়ে চলে তার দৌড়াদৌড়ি। মাঝে মধ্যে আছড়ে পড়ে যায় মাটিতে। দেখে মনে হয় সে আর তার নিজের ইচ্ছাশক্তির ওপরে থাকেনা। অদৃশ্য কোন শক্তির বলে চালিত হয় পাতা। বিনোদন মুখর পাতা খেলা দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে পাতা খেলার মাঠে।
নৌকা বাইচঃ
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য নৌকা বাইচ খেলা প্রতিবছর বড়বালা ইউনিয়নের যমুশ্বেরী নদীর আটপুনিয়ায় হয়ে থাকে। এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় অনেক এলাকা থেকে প্রতিযোগীরা নৌকাবাইচে অংশ গ্রহণ করে থাকে। নৌকা বাইচ খেলায় বড়বালা ইউনিয়ন পরিষদও অংশ গ্রহণ করে থাকে। নারী-পুরুষ সম্মিলিত ভাবে এই দৃশ্য উপভোগ করে। এলাকার মানুষ ছাড়াও দুরদুরান্ত থেকে অনেক মানুষ উপস্থিত হয়ে খেলাটিকে প্রানবন্ত করে তোলে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস