Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

বড়বালা ইউনিয়নের ইতিহাস

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলাধীন ১১নং ইউনিয়নটি বড়বালা ইউনিয়ন নামে পরিচিত। ঐতিহ্যবাহী ছড়ান হাটে এই ইউনিয়ন 

পরিষদ অবস্থিত। মিঠাপুকুর উপজেলা সদর হতে ২০কি.মি. পশ্চিমে, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে অবস্থিত শঠিবাড়ী থেকে ১৮কি.মি পশ্চিমে, 

স্বপ্নপুরী হতে ০৮ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরে বড়বালা ইউনিয়নের অবস্থান। পূর্বে বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়ন, উত্তরে বদরগঞ্জ উপজেলার 

লোহানী পাড়া ইউনিয়ন, দক্ষিণে মিলনপুর ইউনিয়ন এবং পশ্চিমে দিনাজপুর জেলার কুশদহ ইউনিয়ন। রংপুর, দিনাজপুর ও গাইবান্ধা

এই তিন জেলার সংযোগস্থলে যমুনেশ্বরী নদীর তীরবর্তী সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা পলি, দোঁআশ, এঁটেল, লাল ও বালু মাটিতে 

অবস্থিত ১১নং বড়বালা ইউনিয়ন। বড়বালা নামের উৎপত্তি সম্ভবত: মধ্যযুগে। তৎকালীন অত্র ইউনিয়ন মোটা বালুর জন্য বিখ্যাত 

ছিল। নদী বেষ্টিত এলাকাজুড়ে বালুর চরে বিস্তৃত। অধিকন্তু বর্তমান বড়বালা ইউনিয়নের পূর্ব বড়বালা ও পশ্চিম বড়বালা মৌজাদ্বয় দ্বারা যথাক্রমে ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড গঠিত। খুব সম্ভবত: উক্ত মৌজাদ্বয়ের নামানুসারে ইউনিয়নটির নামকরণ করা হয় বড়বালা ইউনিয়ন।ইউনিয়নটির ঐতিহ্যবাহী হাট ছড়ান হাটের প্রাণকেন্দ্রে বড়বালা ইউনিয়ন পরিষদ অবস্থিত। ইউনিয়ন পরিষদের ৩ কি:মি: পশ্চিমে ঘিরনাই নদী প্রবাহমান যাহা দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার সাথে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলাকে পৃথক করেছে। রংপুর  জেলার স্বনামধন্য ঐতিহ্যবাহী হাট ছড়ানহাট। প্রায় ৫.৪০ একর জমির উপরে অবস্থিত এ হাটে সকল প্রকার নিত্যপণ্য দ্রব্য সহজেই 

পাওয়া যায় এবং বাহিরে রপ্তানি করা হয়। বড়বালা ইউনিয়নের আয়তন প্রায় ২৪ বর্গ কিলোমিটার। ১৪টি মৌজা নিয়ে গঠিত এ বড়বালা 

ইউনিয়নের জনসংখ্যা-২৮,৪৬৬জন (২০২১ সালে ভোটার তালিকা অনুযায়ী) তন্মধ্যে পুরুষ-১৪,১০০ জন, মহিলা-১৪,৩৬৬ জন। ১টি 

ডিগ্রি কলেজ, ১টি ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা ও ১টি কারিগরি কলেজ আছে। ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (সহশিক্ষা), ১টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, 

১টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি আলিম মাদ্রাসা, ১টি দাখিল মাদ্রাসা, ১৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়, ও 

৪টি হাফেজিয়া মাদ্রাসা এই ইউনিয়নে অবস্থিত। শিক্ষার হার প্রায় ৭৫ শতাংশ। ৭০ টি মসজিদ, ০৭ টি মন্দির এই ইউনিয়নে অবস্থিত। 

গ্রামীন ব্যাংক, ৩টি এজেন্ট ব্যাংকসহ আশা, ব্র্যাক, টিএমএমএস, বীজ ও অন্যান্য এনজিও-র মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার লেনদেন 

প্রতিদিন এখানে হয়ে থাকে। ১টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপ-কেন্দ্র, ১টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক আছে যার 

মাধ্যমে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন। 

দর্শনীয় স্থান ঃ নদী বেষ্টিত বড়বালা ইউনিয়ন। নদীর দুই ধার ভাদ্র-আশ্বিণ মাসে সাদা সাদা কাঁশফুলে ভরে যায়। নদীর চর যেন 

সেন্টমার্টিন কিংবা কক্সবাজারের ন্যয়। দেখে সবার মন প্রাণ ভরে যায়। যমুনেশ্বরী ব্রিজ হইতে পূর্ব দিকে কিংবা পশ্চিম দিকে তাকালে 

যেন বার বার দেখার ইচ্ছা জাগে মনে। 

উপসংহার ঃ সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি এই বড়বালা ইউনিয়ন। অপার সম্ভাবনাময় অঞ্চল। এখানে 

যদিও কোন দর্শনীয় স্থান নেই তবে যদি এখানে সরকারী ভাবে নদীর কোন একটি চরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা যায় তবে এখানেও 

হতো পর্যটকগণের দৃষ্টি আকৃষ্ট করবার মতো মনোরম জায়গা।